প্রশ্ন
গুড আফটারনুন বলা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আফটারনুন বলে অভিবাদন জানানো বিধর্মীদের রীতি। আর রাসূল (সা.) আমাদেরকে বিধর্মীদের রীতিনীতি অনুসরণ করা থেকে নিষেধ করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাদেরই দলভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
আরেক হাদিসে এসেছে, ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) বলেন,
‘জাহিলী যুগে আমরা বলতাম, আল্লাহ তোমাদের চক্ষু শীতল করুন অথবা প্রত্যুষে তুমি আনন্দিত হও। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমাদের এসব বলতে নিষেধ করে দেয়া হয়।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫২২৭]
ইসলামি অভিবাদন হল সালাম দেওয়া। সালাম ইসলামের সৌন্দর্য। সালামের অনেক ফযিলতও রয়েছে। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে মুহাব্বত সৃষ্টি হয়।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا تَدْخُلُونَ الْجَنّةَ حَتّى تُؤْمِنُوا، وَلَا تُؤْمِنُوا حَتّى تَحَابّوا، أَوَلَا أَدُلّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ؟ أَفْشُوا السّلَامَ بَيْنَكُمْ
‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা মুমিন হও। আর তোমরা মুমিন হবে না, যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালোবাস। আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজের কথা বলে দেব না, যে কাজ করলে তোমাদের পরস্পরের মাঝে প্রীতি-ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমাদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও। [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৪]
কাজেই আফটারনুন বলা থেকে বিরত থাকবে। সালাম দিবে। তবে কেউ যদি আফটারনুন বলে ফেলে তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আফটারনুন বলা বিধর্মীদের ধর্মীয় বিশেষ সম্বোধনসূচক বাক্যাবলি নয়।।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم