প্রশ্ন
কোনো মুক্তাদী যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পায়, তাহলে সে কি রুকুতে যাওয়ার আগে সানা পড়ে নিবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মুক্তাদীর জন্য ইমামের অনুসরণ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ
‘অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায-যুআলীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো। যখন তিনি রুকু করেন, তখন তোমরাও রুকু করো। আর যখন তিনি সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলেন, তখন তোমরা আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়ালাকাল হামদ বলো।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৮৪৬]
কাজেই মুক্তাদী যদি ইমাম সাহেবকে রুকু অবস্থায় পায়, তাহলে প্রথমে তাকবীরে তাহরীমা বলবে। তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাঁধবে না। অতঃপর পুনরায় তাকবীর বলে ইমাম সাহেবের সাথে রুকুতে শরিক হবে। এক্ষেত্রে সানা পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم