প্রশ্ন
হিন্দুদেরকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কবরস্থ করা হয় না। তাহলে কি মৃত্যুর পর তাদের কোনো আযাব হবে না?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআন হাদিসে বর্ণিত কবরের জীবন দ্বারা উদ্দেশ্য হল বারযাখের জীবন, দুনিয়া ও কিয়ামতের মধ্যবর্তী একটি জীবন। মানুষের মৃত্যুর পর তাকে কবরস্থ করা হোক বা না করা হোক, সাথে সাথেই সে বারযাখের জীবনে প্রবেশ করে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
حَتَّى إِذَا جَاءَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُونِ ۞ لَعَلِّي أَعْمَلُ صَالِحًا فِيمَا تَرَكْتُ كَلَّا إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَائِلُهَا وَمِنْ وَرَائِهِمْ بَرْزَخٌ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ
‘অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান, যেন আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরযখ।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০]
কাজেই বিধর্মীদের কবরস্থ করা হোক বা না করা হোক, সে শাস্তি ভোগ করবেই। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) তার কিতাবে লিখেন,
وَمِمَّا ينبغى أَن يعلم أَن عَذَاب الْقَبْر هُوَ عَذَاب البرزح فَكل من مَاتَ وَهُوَ مُسْتَحقّ للعذاب ناله نصِيبه مِنْهُ قبر أَو لم يقبر فَلَو أَكلته السبَاع أَو أحرق حَتَّى صَار رَمَادا ونسف فِي الْهَوَاء أَو صلب أَو غرق فِي الْبَحْر وصل إِلَى روحه وبدنه من الْعَذَاب مَا يصل إِلَى الْقُبُور
‘জানা উচিৎ যে, কবরের আজাবের দ্বারা উদ্দেশ্য হল বরযখের আজাব। সুতরাং যারাই মারা যাবে তারা তাদের আজাবের অংশ ভোগ করবে। চাই তাকে কবর দেওয়া হোক বা না দেওয়া হোক। যদি তাকে হিংস্র প্রাণি খেয়ে ফেলে অথবা তাকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ফলে সে ছাই হয়ে যায় এবং তা বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া হয় অথবা শূলে চড়িয়ে রাখা হয় অথবা সমুদ্রে ডুবে যায় তাহলেও তার রূহ ও দেহের ঐ শাস্তিই হবে যা তার কবরে হত।’ [আর রূহ পৃ. ৫৮]
সুতরাং হিন্দুদের পুড়িয়ে ফেললেও তারা শাস্তি ভোগ করবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم