প্রশ্ন
পিতামাতা কখনো সন্তানকে বদ দোয়া দেওয়ার পর যদি সন্তান ক্ষমা চায় এবং তারা মাফ করে দেয় তাহলেও কি বদ দোয়া কার্যকর হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামে পিতামাতার গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
‘পিতামাতাকে উফ বল না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। তাদের সাথে নম্র ভাষায় কথা বল।’ [সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৩]
হাদিস শরিফে আছে, সন্তানের ব্যাপারে পিতামাতার দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়।
এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন
ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ يُسْتَجَابُ لَهُنَّ لاَ شَكَّ فِيهِنَّ دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ لِوَلَدِه
‘তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়। এতে কোনো সন্দেহ নাই। মজলুম (নির্যাতিত) এর দুআ, মুসাফিরের দোয়া ও সন্তানের জন্য পিতার দোয়া।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ১৯০৫]
সুতরাং তাদের ভালো দোয়া যেমন সন্তানের জন্য কল্যাণের পাথেয় তেমনি তাদের বদ দোয়াও সন্তানের জন্য অমঙ্গলের কারণ। তাই এ ব্যাপারে প্রতিটি সন্তানের সতর্ক থাকা খুবই জরুরি।
যদি কখনো পিতামাতা অসন্তুষ্ট হয়ে বদ দোয়া দিয়েই ফেলে তাহলে সন্তানের উচিৎ যেভাবেই হোক তাদের থেকে মাফ করিয়ে নেওয়া।
সাথে সাথে মহান আল্লাহ তাআলার কাছেও মাফ চাইতে থাকা এবং পিতামাতার কাছেও এই দোয়া করার আবেদন করা, আল্লাহ তাআলা যেন তাদের বদ দোয়ার ক্ষতি থেকে সন্তানকে রক্ষা করেন।
তাহলে আশা করা যায়, তাদের বদ দোয়ার ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলা সন্তানকে রক্ষা করবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم