প্রশ্ন
এক ব্যক্তির শাশুড়ির বয়স বেশি নয়। তার শাশুড়িকে তার পছন্দ হয়েছে। এখন সে চাচ্ছে, তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে করতে। তাকে অনেক বুঝানো হলেও সে বুঝতে চাচ্ছে না।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বিয়ের দ্বারাই শাশুড়ি মাহরামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং চিরদিনের জন্য তাকে বিয়ে করা হারাম হয়ে যায়।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَنْ تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا
‘তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা এবং মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা, ভাইঝি, ভাগিনী, দুধ মা, দুধ বোন, শাশুড়ি, তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সঙ্গত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে, কিন্তু যদি তাদের সাথে তোমরা সহবাস না করে থাক, তবে (তাদের বদলে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের প্রতি গুনাহ নেই এবং (তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী এবং এক সঙ্গে দু’ বোনকে (বিবাহ বন্ধনে) রাখা, পূর্বে যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ২৩]
সুতরাং ঐ ব্যক্তির জন্য তার শাশুড়িকে বিবাহ করা কিছুতেই জায়েয হবে না। তাকে যেকোন ভাবে এ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয়ও নেওয়া যেতে পারে।
মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, ৬/২৭৩; আলমাবসূত, সারাখসী ৪/১৯৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৩১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم