প্রশ্ন
একজন তাবলীগি ভাইকে বলতে শুনলাম, আরশ বহনকারী ফেরেশতারা আল্লাহর রাস্তায় মেহনতকারীর জন্য দোয়া করে থাকে। আমি জানতে চাচ্ছি, উক্ত ভাইয়ের বক্তব্য কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করার ফজিলত যে অনেক, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করে, এ মর্মে কুরআন বা সহিহ হাদিসে কোনো কিছ বর্ণিত হয়নি। তবে কুরআনের আয়াত থেকে বুঝা যায়, আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তিন শ্রেণির লোকদের জন্য দোয়া করে থাকে। যথা,
১. যারা ঈমান এনেছে
২. যারা তওবা করেছে এবং
৩. যারা আল্লাহর পথের অনুসরণ করে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
لَّذِیْنَ یَحْمِلُوْنَ الْعَرْشَ وَ مَنْ حَوْلَهٗ یُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ وَ یَسْتَغْفِرُوْنَ لِلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا، رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَیْءٍ رَّحْمَةً وَّ عِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِیْنَ تَابُوْا وَ اتَّبَعُوْا سَبِیْلَكَ وَ قِهِمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ
‘যারা আরশকে ধারণ করে এবং যারা এর চারপাশে রয়েছে, তারা তাদের রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করে এবং তাঁর প্রতি ঈমান রাখে। আর মুমিনদের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলে যে, হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন।’ [সূরা গাফির, আয়াত: ৭]
কাজেই দলিল ছাড়া কোনো কাজের ফজিলত বর্ণনা করা কোনোক্রমেই উচিৎ নয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم