প্রশ্ন
আমি যদি রোজা রেখে এরপর সফর শুরু করি তাহলে কি সফরের কারণে উক্ত রোজা ভাঙ্গতে পারবো?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রোজা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য ফরজ। তবে কেউ যদি সফরে থাকে তবে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে রোজা রাখাটা উত্তম।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
‘আর কেউ যদি অসুস্থ থাকে, বা সফরে থাকে, তাহলে সে যেন পরে একই সংখ্যক দিন রোজা রেখে পূরণ করে নেয়। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, তিনি তোমাদের জন্য কঠিনটা চাননা। ’ [সূরাবাকারা, আয়াত: ১৮৫]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَمْرٍو الأَسْلَمِيَّ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَأَصُومُ فِي السَّفَرِ وَكَانَ كَثِيرَ الصِّيَامِ فَقَالَ إِنْ شِئْتَ فَصُمْ وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ
‘রাসূল(সা.) এর স্ত্রী আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত যে, হামযাহ ইবনে আমর আসলামী (রা.) অধিক সওম পালনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-কে বললেন, আমি সফরেও কি রোজা রাখতে পারি? তিনি বললেন, ইচ্ছা করলে তুমি রোজা রাখতে পার, আবার ইচ্ছা করলে নাও রাখতে পার।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯৪৩]
তবে কেউ যদি মুকিম অবস্থায় রোজা রেখে এরপর সফর শুরু করে তাহলে সেই রোজা ভাঙ্গতে পারবে না। বরং সেটা পূর্ণ করতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/৬৩০; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২০৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم