প্রশ্ন
আমি একটি হাদিসে পড়েছি, সুদের গুনাহের সর্বনিম্ন স্তর হলো নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা। এ হাদিসটির ব্যাখ্যা জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সুদের গুনাহ অত্যন্ত ভয়াবহ। কুরআনে বারবার সুদ থেকে বেচে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে-
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ
‘সুদের গুনাহর সত্তরটি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২২৭৪]
অপর হাদিসে এসেছে,
আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
‘জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২১৪৫০]
হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থগুলোতে এই হাদিসগুলোর দুই ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
১. হাদিসে যে নির্দিষ্ট সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আসল উদ্দেশ্য নয়, বরং আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে গুনাহের ভয়াবহতা ও পরিমাণ অত্যধিক বেশি হওয়ার কথা বুঝানো। যাতে মানুষ হারাম খাওয়া থেকে বিরত থাকে এবং হালালের প্রতি ধাবিত হয়। উক্ত সংখ্যার নিগুঢ় রহস্য আল্লাহই ভালো জানেন।
২. হাদিসে উল্লিখিত সংখ্যা তার আসল অর্থে ব্যবহৃত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে উদ্দেশ্য হচ্ছে একবার সুদ খেলে ঐ পরিমাণ যিনা করার গুনাহ হবে।
মেশকাত শরীফ ১/২৪৬, মেরকাত ৬/৬৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم