প্রশ্ন
এক ব্যক্তি মদকে বৈধ বলছে। কিন্তু কুরআনে তো মদকে হারাম করা হয়েছে। তাহলে কি এই ব্যক্তিকে কাফের বলা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মদ কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলমাদের জন্য হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْحِرَ وَالْحَرِيرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ
আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড় মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে (মিউজিককে) হালাল জ্ঞান করবে। [সহিহ বুখারি হাদিস: ৫৫৯০]
আরেক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন-
فِي هَذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ وَمَسْخٌ وَقَذْف فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ المُسْلِمِينَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَتَى ذَاكَ؟ قَالَ: إِذَا ظَهَرَتِ القَيْنَاتُ وَالمَعَازِفُ وَشُرِبَتِ الخُمُورُ
অবশ্যই এ উম্মতের মধ্যে ভূমিধ্বস, আসমান থেকে নিক্ষিপ্ত গযব ও দৈহিক রূপান্তরের শাস্তির প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। এসব তখনই ঘটবে যখন তারা মদ্যপান শুরু করবে, গায়িকা রাখবে ও বাদ্যযন্ত্র বাজাবে। [সুনানে তিরমিযি হাদিস: ২১৮৫]
তবে কারও কাছ থেকে কুফুরির কাজ প্রকাশ পেলেই সরাসরি তাকে কাফের বলে দেওয়া যাবে না। এখানে আরও অনেক বিষয় দেখতে হবে। এর জন্য বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। নতুবা এর দ্বারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم