প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। মুফতী সাহেবের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাঝে বিবাদ হচ্ছে। বিষয়টি হল, আরাফার দিনের রোজা কি হাজী–গায়রে হাজী সকলের জন্য? না শুধু গায়রে হাজীদের জন্য? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওয়ালাইকুমুস সালাম। আরাফার দিন রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিস শরিফে এসেছে-
صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِى بَعْدَهُ
‘আরাফার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট আশা করি যে, এর বিনিময়ে তিনি ঐ দিনের পূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৮০৩]
এখানে হাজ্বী, গায়রে হাজ্বী কোন পার্থক্য করা হয়নি। সুতরাং বুঝা যায় হাজ্বীরাও রোজা রাখলে এই সাওয়াব পাবে। তবে যেহেতু সেদিন তাদের হজ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তাই তাদের রোজা রাখার জন্য শর্ত হল, রোজা রেখে দুর্বল হতে পারবে না। উম্মতকে বিষয়টি বুঝানোর জন্য রাসূল (সা.) নিজেও সেদিন রোজা রাখেননি।
তবে যদি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা না করে তাহলে রোজা রাখতে পারবে। পারবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর আরাফার দিনে আয়েশা (রা-)এর নিকট গেলেন তখন আয়েশা (রা.) রোযা ছিলেন। তিনি তাকে বললেন, আপনি ইফতার করুন (রোযা ভাঙুন)। আয়েশা (রা.) জবাবে বললেন, আমি কীভাবে ইফতার করব। অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.)কে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই আরাফার দিনের রোযার বিনিময়ে পূর্বের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। [মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৪৭৭০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم