প্রশ্ন
আমার বন্ধু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে রমজান মাসে দিনের বেলা যিনায় লিপ্ত হয়েছিল। সে জানতে চাচ্ছে, উক্ত কারণে কি তার রোজা ভেঙ্গে গিয়েছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, যিনায় লিপ্ত হলেও রোজা ভেঙ্গে যায়। কারণ, রোজা রেখে সহবাস করা হলে রোজা ভেঙ্গে যায়। আর ইচ্ছাকৃত যিনায় লিপ্ত হওয়ার কারণে উক্ত রোজার কাযা কাফফারা উভয় করতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো। সে বললো, আমি রমজানের রোজারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূল (সা.) বলেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করো সে বললো, আমার সেই সামর্থ্য নাই। তিনি বলেন, তাহলে একাধারে দু’ মাস রোজা রাখো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেন, তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৭১]
উল্লেখ্য, যিনা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। আর কবীরা গুনাহ তওবা ছাড়া মাফ হয় না। সুতরাং আপনার বন্ধুর জন্য জরুরি হল, অতিসত্ত্বর তওবা করে নেওয়া। খাঁটি মনে তওবা করলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم