প্রশ্ন
আমি শুনেছি, গীবত করা হারাম। এ ব্যাপারে শরিয়তের দলিল জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
গীবত হারাম হওয়ার ব্যাপারে কুরআন হাদিসে অসংখ্য দলিল বিদ্যমান আছে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ
‘আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।’ [সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১২]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, (গীবত হলো) তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে বাস্তবিকই থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে প্রকৃতই থেকে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৯]
গীবতকারীর জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আনাস ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমন্ডলে ও বুকে আচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৮৭৮]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم