প্রশ্ন
কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত করা বৈধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
গীবত করা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে শরিয়ত গীবত করার অনুমোদন রেখেছে। তা হল:
১. জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তির এমন ব্যক্তির কাছে জালেমের নামে গীবত করতে পারবে, যে জালেমকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যেমন, সুলতান, কাযী।
২. খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করা, যে তা বন্ধ করতে সক্ষম।
৩. গীবতের শরয়ি বিধান জানার জন্য মুফতি সাহেবের কাছে মূল গীবত উল্লেখ করা। যেমন, কেউ মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করল, অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে। সুতরাং আমি কি তার সাথে এমন আচরণ করতে পারব? ইত্যাদি।
৪. জনসাধারণকে ধোঁকা ও খারাবি থেকে বাঁচানোর জন্য গীবত করা বৈধ। যেমন, সাক্ষীর দোষ বর্ণনা করা, হাদিসের বর্ণনাকারীদের দোষ নিয়ে আলোচনা করা, লেখক ও বক্তাদের ভ্রষ্টতা বর্ণনা করে জনসাধারণকে সতর্ক করা ইত্যাদি।
৫. যে ব্যক্তি প্রকাশ্য পাপাচারে লিপ্ত, তার এই পাপাচার সম্পর্কে মানুষকে বলা যাবে। কিন্তু যদি অপ্রকাশ্যে কোনো পাপাচারে লিপ্ত থাকে তাহলে আবার সেটি প্রকাশ করা যাবে না।
৬. পরিচয় প্রদানের জন্য। যেমন, কেউ অন্ধ বা বধির নামে মানুষের মাঝে পরিচিত। এক্ষেত্রে তার আসল নাম বললে কেউ চিনবে না। এক্ষেত্রে উক্ত দোষ বলা যাবে শুধু তার পরিচয়ের সুবিধার্থে। তবে তাকে তুচ্ছ করার জন্য এটা বলা যাবে না।
রুহুল মাআনী ১৩/৩১২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم