প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু তার স্ত্রীর সাথে খাবার নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলে, আমি এখন থেকে তোমার হাতের রান্না খাব না। যদি খাই তাহলে আমি হারাম খাই। এর কিছুদিন পর সে তার হাতের রান্না খেয়েছে। এখন সে জানতে চাচ্ছে, উক্ত কথার কারণে কোনো সমস্যা হয়েছিল কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উক্ত কথার দ্বারা রান্না না খাওয়ার কসম সাব্যস্থ হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু পরবর্তীতে আপনার বন্ধু তার স্ত্রীর হাতের রান্না খেয়েছে, তাই উক্ত কসম ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এখন সেই কসমের কাফফারা দিয়ে দিতে হবে। কসমের কাফফারা হল, দশজন মিসকীনকে দুইবেলা খাবার খাওয়ানো কিংবা তাদেরকে একজোড়া পরিধেয় বস্ত্র প্রদান করা। এর কোনোটিতেই যদি সক্ষম না হয় তাহলে লাগাতার তিনদিন রোজা রাখতে হবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ
‘আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]
রদ্দুল মুহতার ৩/৭২৫, ৭২৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم