প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী বিয়ের আগে যিনায় লিপ্ত ছিল। বিয়ের পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে তওবা করেছে। তার স্বামীর কাছেও সবকিছু স্বীকার করেছে। উক্ত ব্যক্তি জানতে চাচ্ছে, এখন তার করণীয় কী? সে স্ত্রীকে রাখবে, নাকি ছেড়ে দিবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুযায়ী স্ত্রী যেহেতু তওবা করেছে, তাই আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
কেউ যদি খাঁটি মনে তওবা করে থাকে তাহলে সে ঐ ব্যক্তির মত হয়ে যায়, যার কোনো গুনাহ নেই। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ
‘গোনাহ থেকে তওবাকারী এমন, যেন সে গোনাহ করেইনি।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪২৫০]
যেহেতু স্ত্রী তওবা করেছে, তাই উক্ত ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিবে না। বরং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তার সাথে ঘরসংসার করে যাবে। আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা তাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم