প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি এক মজলিসে মিথ্যা বলেছে যে, তার কোনো স্ত্রী নেই। অথচ সে বিবাহিত। জানতে চাচ্ছি, এভাবে মিথ্যা বলার কারণে কি তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে মিথ্যা বলা হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
‘তোমরা মুর্তিপূজার নোংরামী থেকে বাঁচো এবং মিথ্যা কথা থেকে বাঁচো।’[সূরা হজ, আয়াত: ৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
‘আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি:
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে।
২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে।
৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস:৫৯]
সুতরাং উক্ত ব্যক্তির এভাবে মিথ্যা বলার কারণে গুনাহগার হয়েছে। তবে এ কারণে তার স্ত্রী তালাক হবে না। বরং সে তার স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করতে পারবে।
রদ্দুল মুহতার ৪/৫০৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم