প্রশ্ন
আমি প্রবাসে থাকি। স্ত্রীর কথা স্মরণ করলেই আমার মযী বের হয়। ঠিকমত নামাজও পড়তে পারি না। নামাজে থাকা অবস্থায়ই অজু ভেঙ্গে যায়। তবে যদি হস্তমৈথুন করি তাহলে ১০/১২ দিন কিছুটা শান্তিমত নামাজ পড়া যায়। জানতে চাচ্ছি, আমার জন্য হস্তমৈথুন বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হস্তমৈথুন করা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ
‘আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘সাত শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন, কিয়ামতের দিন এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদেরকে জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দিবেন। এরা হল- সমকামী, হস্তমৈথুনকারী, জীবজন্তুর সাথে সঙ্গমকারী, স্ত্রীর সঙ্গে পুংমৈথুনকারী, কোন মহিলা ও তার কন্যাকে একসাথে বিবাহকারী, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারকারী এবং প্রতিবেশীকে এমন কষ্টদানকারী, যার কারণে সে তাকে অভিশাপ দেয় । তবে এরা যদি তাওবা করে তাহলে তারা সবাই হয়ত ক্ষমা পেতে পারে।’ [বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৭/৩২৯]
কাজেই আপনার জন্য হস্তমৈথুন করা বৈধ হবে না। আপনার জন্য পরামর্শ হল, আপনি রোজা রাখতে পারেন। এতে আপনার যৌনকামনা স্তিমিত হবে ইনশাআল্লাহ।
তবে হস্তমৈথুন না করলে যদি যিনায় লিপ্ত হওয়ার আশংকা দেখা দেয় তাহলে কতক ফুকাহায়ে কেরাম হস্তমৈথুন করাকে বৈধ বলেন।
রদ্দুল মুহতার ৩/৩৭১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم