প্রশ্ন
শরিয়তের দৃষ্টিতে ঈসালে সওয়াবের কোনো ভিত্তি আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, ঈসালে সওয়াব শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। কুরআন হাদিস দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أُمِّي افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ فَهَلْ لَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ
‘আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে বললেন, আমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে, কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি (মৃত্যুর পূর্বে) কথা বলতে সক্ষম হলে কিছু সদকা করে যেতেন। এখন আমি তাঁর পক্ষ হতে সদকা করলে তিনি এর প্রতিফল পাবেন কি? তিনি (সা.) বললেন, হ্যাঁ ‘ [সহিহ বুখারি, ১৩৮৮]
অপর আরেক হাদিসে এসেছে,
‘ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা রাসূল (সা.)-এর নিকট এসে বললেন, আমার আম্মা হজ্বের মানত করেছিলেন তবে তিনি হজ্ব আদায় না করেই ইন্তিকাল করেছেন। আমি কি তার পক্ষ হতে হজ্ব করতে পারি? আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, তার পক্ষ হতে তুমি হজ্ব আদায় কর। তুমি এ ব্যাপারে কি মনে কর যদি তোমার আম্মার উপর ঋণ থাকত তা হলে কি তুমি তা আদায় করতে না? সুতরাং আল্লাহর হক আদায় করে দাও। কেননা আল্লাহর হকই সবচেয়ে বেশী আদায়যোগ্য।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৫২]
এ ছাড়াও আরো অসংখ্য হাদিস দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত।
সূরা কাহাফ, আয়াত: ৪৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৪৫৩৬; শুয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৮৮৫৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم