প্রশ্ন
আমি ডাক্তারি পড়ছি। পাশাপাশি পরিপূর্ণ পর্দার বিধান রক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু মেডিকেলের ভাইবা পরীক্ষার সময় কিছু কিছু শিক্ষক ভেরিফাই করার জন্য চেহারা খুলতে বলেন। কারণ অনেক সময় একজনের পরীক্ষা আরেকজন দিয়ে দেয়। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে চেহারা খোলা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নারীদের জন্য ডাক্তারি পড়া ফরজে কিফায়া- এর অন্তর্ভুক্ত। কারণ, নারীদের চিকিৎসার জন্য নারী ডাক্তারের প্রয়োজন রয়েছে। আর যেটা প্রয়োজনীয় তা শিক্ষা করাও জরুরি। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ الشِّفَاءِ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عِنْدَ حَفْصَةَ فَقَالَ لِي: أَلَا تُعَلِّمِينَ هَذِهِ رُقْيَةَ النَّمْلَةِ كَمَا عَلَّمْتِيهَا الْكِتَابَةَ
‘শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি হাফসা (রা.)-এর নিকট ছিলাম, তখন রাসূল (সা.) আমার নিকট এসে বললেন, তুমি ওকে (হাফসাকে) যেভাবে লেখা শিখিয়েছ, সেভাবে পিপড়ার কামড়ের ঝাড়ফুঁক শিক্ষা দাও না কেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৮৭]
উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় বিষয়ের জ্ঞান আহরণ করাও জরুরি। এ কারণে ফুকাহায়ে কেরাম নারীদের ডাক্তারি পড়াকে ফরজে কিফায়া বলেছেন। তবে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে পর্দার যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, পর্দা করা নারীদের জন্য ফরজ।
সুতরাং ডাক্তারি পড়তে গিয়ে পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা যাবে না। তবে যদি কোথাও একান্ত বাধ্য হয়ে চেহারা খুলতেই হয় তাহলে পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করে নিতে হবে। আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন।
আল আশবাহ পৃ. ৪১৫; রদ্দুল মুহতার ১/৪২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم