প্রশ্ন
আমার কাছে দশ হাজার টাকার মত ফিতরার টাকা আছে। আমাদের এলাকায় একটি মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। জানতে চাচ্ছি, সেই নির্মাণকার্যে ফিতরার টাকাগুলো দেওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ফিতরার টাকা আর যাকাতের টাকার বিধান একই। ফিতরা ও যাকাতের টাকা ব্যয় করার নির্দিষ্ট খাত রয়েছে। সে খাতেই উক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়। ভিন্ন খাতে ব্যয় করলে যাকাত ও ফিতরা আদায় হয় না। সেই নির্দিষ্ট খাতগুলোর বর্ণনা কুরআন মাজিদে করে দেওয়া হয়েছে। কুরআন মাজিদে এসেছে,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
‘নিশ্চয় সদাকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।’ [সূরা তওবা, আয়াত: ৬০]
হাদিস শরিফে এসেছে,
সুফিয়ান সাওরী (রহ.) বলেন, ‘কেউ তার যাকাত মৃত ব্যক্তির কাফনের কাজে দিতে পারবে না। মৃত ব্যক্তির ঋণ আদায়ে দিতে পারবে না। কোনো মসজিদ নির্মাণে দিতে পারবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭১৭০]
সুতরাং মসজিদের নির্মাণকার্যে ফিতরার টাকা ব্যয় করা যাবে না। বরং নির্ধারিত খাতেই তা ব্যয় করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم