প্রশ্ন
ফজরের ফরজ নামাজ চলা অবস্থায় ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়া যাবে- এ মর্মে কোনো দলিল বিদ্যমান আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ম হল কেউ যদি মসজিদে গিয়ে জামাত দাঁড়িয়ে যেতে দেখে তাহলে অন্য কো নামাজ না পড়ে ইমাম সাহেবের সাথে জামাতে দাঁড়িয়ে যাবে। কোন সুন্নত বা নফল নামাজ পড়বে না।
কিন্তু ফজরের সুন্নতের গুরুত্ব অন্যান্য সুন্নতের চেয়ে অনেক বেশি। তাই ফুকাহায়ে কেরাম বলেন: ফজরের সুন্নতের ক্ষেত্রে যদি জামাতের সাথে এক রাকাআত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে জামাত থেকে দূরে সরে গিয়ে প্রথমে সুন্নত পড়ে নিবে। এরপর ইমামের সাথে জামাতে শরিক হবে। এ বিষয়টি একাধিক সাহাবী থেকে বর্ণিত। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু মূসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত, (কূফার গভর্নর) সায়ীদ ইবনে আস তাঁকে এবং হুযায়ফা ও আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-কে ফজরের নামাযের আগে ডাকলেন। তাঁরা (কাজ শেষে) তার কাছ থেকে বিদায় নিলেন। ইতিমধ্যে মসজিদে ফজরের নামাযের ইকামত শুরু হয়ে গেছে। ইবনে মাসউদ (রা.) মসজিদের একটি খুঁটির আড়ালে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) পড়লেন। তারপর জামাতে শরীক হলেন।’ [শরহু মাআনিল আসার, হাদিস: ২০৩৭]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘আবু উসমান আলআনসারী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস এমতাবস্থায় এলেন যে, ইমাম সাহেব ফজরের নামাজ পড়াচ্ছিলেন। আর তিনি ফজরের [সুন্নত] দুই রাকাত পড়েননি। তাই আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) দুই রাকাত [সুন্নত] পড়লেন ইমামের পিছনে। তারপর তিনি ইমামের সাথে শরীক হলেন। ইবনে উমর (রা.)-এর ব্যাপারেও এমনি বর্ণিত।’ [শরহু মাআনিল আসার, হাদিস: ২০৪০]
এ ছাড়া আরো অসংখ্য সাহাবী ও তাবেয়ী থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ফজরের ফরজ নামাজ চলা অবস্থায় ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم