প্রশ্ন
বর্তমানে কুরুলুস ওসমান নামে তুর্কী একটি ওয়েব সিরিজ অনলাইনে পাওয়া যায়। জানতে চাচ্ছি, এগুলো দেখা কতটুকু শরিয়ত সম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বর্তমানে ইসলামি ট্যাগ লাগিয়ে যত সিরিয়াল বা মুভি পাওয়া যায় তার প্রায় সবগুলোতেই শরিয়ত নিষিদ্ধ বিভিন্ন জিনিস বিদ্যমান রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বিভিন্ন ধরণের মিউজিক, নারী অভিনেত্রীর উপস্থিতি, অবৈধ প্রেম, ছবি নির্মাণ ইত্যাদি। যার সবগুলো হারাম। আর যে বস্তুতে এতগুলো হারাম বস্তুর সম্মিলন ঘটে, তা যে হারাম হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেখুন, পর্দা একটি ফরজ বিধান। সর্বাবস্থায় তা পালনীয়। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৯]
অথচ উক্ত সিরিয়ালগুলোতে পর্দার বিধার লঙ্ঘিত হয় পুরোপুরি।
অনুরূপভাবে ছবি তৈরি হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ছবি তৈরির ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন,
‘যে ব্যক্তি কোনো ছবি তৈরী করে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে। আর সে তাতে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২২২৫]
মিউজিকে ব্যাপারে হাদিস শরিফে এসেছে,
‘দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম।’ [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদিস: ৩৩৫৯]
কাজেই তুর্কী ওয়েব সিরিজ কুরুলুস ওসমানসহ ইসলামি ট্যাগ বিশিষ্ট সিরিয়াল বা মুভি দেখা কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না।
রদ্দুল মুহতার ৯/৫০৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم