প্রশ্ন
এক ব্যক্তি কসম করে তা ভেঙ্গে ফেলেছে। এখন যদি সে কসমের কাফফারার টাকা মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে দেয় তাহলে কি তার কাফফারা আদায় হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কসম করে তা ভঙ্গ করলে কাফফারা অপরিহার্য হয়। কসমের কাফফারা সম্পর্কে কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে-
فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ
‘সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরণের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা, যদি তোমরা কসম কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]
তাই কসমের কাফফারা মসজিদে প্রদান করলে তা আদায় হবে না। বরং তা নফল সাদকা হিসেবে গণ্য হবে। তাকে পুনরায় কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।
কিতাবুল আছল, ইমাম মুহাম্মাদ ৪/২২০; আলমাবসূত, সারাখসী ৮/১৫৪; রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم