প্রশ্ন
আমি এক স্থানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে এ বিষয়টি নারীদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে যে, নাক-কান না ছিদ্র করলে কেয়ামাতের দিন আগুনের শলাকা দিয়ে নাক-কান ছিদ্র করে দেওয়া হবে। এটি কি ঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। কুরআন-হাদিসে এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى يَوْمَ الْفِطْرِ رَكْعَتَيْنِ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلَا بَعْدَهَا ثُمَّ أَتَى النِّسَاءَ وَمَعَهُ بِلَالٌ فَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ تُلْقِي الْمَرْأَةُ خُرْصَهَا وَسِخَابَهَا
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন: রাসূল (সা.) ঈদুল ফিতরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। এর পূর্বে ও পরে কোন নামাজ আদায় করেননি। তারপর তিনি মহিলাদের কাছে এলেন। সাথে ছিলেন বিলাল (রা.)। তখন তিনি মহিলাদেরকে দান করতে আদেশ করলেন। ফলে মহিলারা তাদের কানের দুল, গলার হার দান করতে লাগল। [সহিহ বুখারি, হাদিস; ৯৬৪]
এখান থেকে বুঝা যায় মহিলারা নাক-কান ছিদ্র করতে পারবে। তবে এটি তাদের জন্য জরুরি কোন বিষয় নয়। বরং এটি জায়েয বা বৈধ একটি বিষয়। কেউ চাইলে করতে পারে। আবার না চাইলে না-ও করতে পারে।
রদ্দুল মুহতার ৯/৬০২, আদদুররুল মুখতার ৯/৬০২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم