প্রশ্ন
আমি শাওয়ালের রোজা অবস্থায় ছিলাম। বাসায় মেহমান আসলে তাদের পীড়াপীড়িতে রোজা ভেঙ্গে ফেলি। জানতে চাচ্ছি, সেই রোজার কাযা আমাকে করতে হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শাওয়ালের রোজা নফল রোজা। আর নফল রোজা ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা করতে হয়ে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أُهْدِيَ لِي وَلِحَفْصَةَ طَعَامٌ وَكُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَأَفْطَرْنَا ثُمَّ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا أُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ فَاشْتَهَيْنَاهَا فَأَفْطَرْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَلَيْكُمَا صُومَا مَكَانَهُ يَوْمًا آخَرَ
‘আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমার ও হাফসার জন্য কিছু খাবার হাদিয়া স্বরূপ আসে। এ সময় আমরা উভয়ে রোজাদার ছিলাম। কিন্তু (খাবার পাওয়াতে) আমরা রোজা ভেঙ্গে তা খেয়ে ফেলি। এরপর রাসূল (সা.) হাজির হলে, আমরা তাঁকে বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! নিশ্চয়ই আমাদের জন্য কিছু খাবার হাদিয়া স্বরূপ আসে, আর আমাদের তা খেতে ইচ্ছা হওয়াতে আমরা রোজা ভেঙ্গে খেয়ে ফেলেছি। রাসূল (সা.) বলেন, ক্ষতি নেই। তোমাদের উভয়ের জন্য অন্য কোনোদিন কাযা রোযা রাখতে হবে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৫৭]
সুতরাং আপনি অন্যকোনো দিন সেই রোজাটির কাযা করে ফেলবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم