প্রশ্ন
ঈদের দিন পারস্পরিক শুভেচ্ছা জানানোর পদ্ধতি কী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সাহাবায়ে কেরামের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পারস্পরিক রীতি ছিল যে, তাঁরা ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকুম’ বলতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن محمد بن صفوان، بن محمد بن زياد قال: كنت مع أبي أمامة الباهلي وغيره من أصحاب النبي -صلى اللَّه عليه وسلم-، فكانوا إذا رجعوا يقول بعضهم لبعض: تقبل اللَّه منا ومنك
‘মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ বলেন, আমি আবু উমামা (রা.)-সহ রাসূল (সা.)-এর অনেক সাহাবীর সংস্পর্শে ছিলাম। তাঁরা যখন ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন তখন একে অপরকে বলতেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনক’।’ [আত তারীখুল কাবীর ১/১১৬]
সালফে সালেহীনদের রীতিও এটিই ছিল। তারীখে দিমাশকে এসেছে,
‘সাফওয়ান ইবনে আমর বলেন: আমি আবদুল্লাহ ইবনে বুসর, খালেদ ইবনে মাদান, রাশেদ ইবনে সাদ, আবদুর রহমান ইবনে জুবাই, আবদুর রহমান ইবনে আয়িযসহ আরও অনেক মাশায়েখকে ঈদের সময় একে অপরকে বলতে দেখেছি, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকুম।’ [তারীখে দিমাশক ২৪/১৫৪]
সুতরাং ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকুম’ বলার মাধ্যমে শুভেচ্ছা প্রকাশ করা যাবে। পাশাপাশি অন্যান্য যেকোনো দোয়ামূলক বাক্য দ্বারাও শুভেচ্ছা প্রকাশ করা যাবে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন, আমাদের দেশে ঈদ মোবারক বলা হয়ে থাকে।
তবে সালাফদের রীতি অবলম্বন করাই উত্তম হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم