প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি যাকাতকে অস্বীকার করে। তার বক্তব্য হল, যাকাত মোল্লাদের তৈরি। প্রশ্ন হল, ঐ ব্যক্তির কি ঈমান থাকবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যাকাত ইসলামের একটি ফরজ বিধান, যা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ
‘আর তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১১০]
তাছাড়া ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হল যাকাত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (রা.) ইরশাদ করেছেন,
بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ
‘ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। ১. আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রমাজানের সিয়ামব্রত পালন করা।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮]
সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি যাকাতের এ ফরজিয়্যাতকে অস্বীকার করে তাহলে তার ঈমান থাকবে না। কাজেই ঐ ব্যক্তির ঈমান চলে গিয়েছে। তাকে অতিসত্ত্বর তার ঈমান নবায়ন করে নিতে হবে।
ফাতহুল বারী ৩/৩০৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم