প্রশ্ন
তারাবীর নামাজে দোয়ায়ে মাছুরা না পড়লে কি কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নামাজ ধীরস্থিরভাবে সকল সুন্নত ও মুস্তাহাবসহকারে আদায় করতে হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) একদিন এক বেদুইনকে নামাজ শিক্ষা দেওয়ার সময় বলেছিলেন,
ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ وَتَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَ
‘এরপর সেজদা করবে ধীরস্থিরভাবে। এরপর মাথা তুলে সোজা হবে এবং ধীরস্থিরভাবে বসে যাবে। এরপর আবার ধীরস্থিরভাবে সেজদা করবে। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। এরপর তোমার পুরো নামাজেই এরূপ করবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৬৬৭]
দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করা মুস্তাহাব হওয়ার কারণে যদি নামাজে তা পাঠ না করা হয় তাহলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কোনো ওযর ছাড়া তা ছেড়ে না দেওয়া উচিৎ।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم