প্রশ্ন
আমি ডায়েট কন্ট্রোল করছি। তাই এ বছর রমজানে সাহরী না করার নিয়ত করেছি। এক ভাই বললেন, সাহরীর অনেক ফজিলত রয়েছে। জানতে চাচ্ছি, সাহরী করলে কী ফজিলত লাভ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সাহরী খাওয়ার ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত আছে। তন্মধ্যে একটি হাদিস উল্লেখ করছি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
السَّحُورُ أَكْلُهُ بَرَكَةٌ، فَلَا تَدَعُوهُ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جُرْعَةً مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ
‘সাহরী বরকতময় খানা, তোমরা তা ত্যাগ কর না, যদিও তোমাদের কেউ একঢোক পানি গলাধঃকরণ করে, কারণ আল্লাহ তাআলা সাহরী ভক্ষণকারীদের উপর রহমত প্রেরণ করেন ও ফেরেশতাগণ তাদের জন্য ইস্তেগফার করেন।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১১০৮৬]
সুতরাং এই ফজিলত লাভের জন্য সামান্য কিছু দিয়ে হলেও সাহরী করা উচিৎ। একেবারে সাহরী ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم