প্রশ্ন
দফের আওয়াজ বিশিষ্ট গজল শোনা বৈধ হবে কি? কেউ কেউ বলে থাকেন, দফ বিশিষ্ট গজল শোনা বৈধ। সঠিক মাসআলাটি জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
দফসহ যে কোনো ধরণের বাদ্যযন্ত্র শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ
‘আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা ক্রয় করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।’ [সূরা লুকমান, আয়াত: ৬]
‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১]
দফ যে হারাম, এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সুস্পষ্ট হাদিস বিদ্যমান রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
الدُّفُّ حَرَامٌ , وَالْمَعَازِفُ حَرَامٌ , وَالْكُوبَةُ حَرَامٌ , وَالْمِزْمَارُ حَرَامٌ
‘দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম।’ [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদিস: ৩৩৫৯; সুনানে কুরবা লিলবায়হাকী, হাদিস: ২১০০০]
সুতরাং দফ বিশিষ্ট কোনো গজল শোনা বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم