প্রশ্ন
কোনো সন্তান যদি তার পিতা মাতার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে তার হজ্বের সওয়াব লাভ হয়। একটি বইয়ে এই হাদিসটি পেলাম। জানতে চাচ্ছি, এমনকি কোনো হাদিস আছে? আসলেই কি পিতা মাতার দিকে তাকালে হজ্বের সওয়াব লাভ হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
একটি যয়ীফ হাদিসে বিষয়টি এসেছে যে, পিতা মাতার বাধ্যগত কোনো সন্তান যদি পিতা মাতার দিকে একবার রহমতের দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে সে একটি মকবুল হজ্বের সওয়াব লাভ করে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
مَا مِنْ وَلَدٍ بَارٍّ يَنْظُرُ نَظْرَةَ رَحْمَةٍ إِلَّا كَتَبَ اللهُ بِكُلِّ نَظْرَةٍ حَجَّةً مَبْرُورَةً ، قَالُوا: وَإِنْ نَظَرَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، اللهُ أَكْبَرُ وَأَطْيَبُ
‘যখন কোনো পিতা-মাতার ভক্ত সন্তান নিজের পিতা মাতার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে দেখে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বদৌলতে তার জন্য [আমলনামায়] একটি হজ্জ্বে মাবরূর [কবুল হজ্ব] এর সওয়াব দান করেন। সাহাবারা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দৈনিক একশবার দৃষ্টি করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাহলেও। আল্লাহ মহান ও পবিত্র। [শুআবুল ঈমান, হাদিস: ৭৪৭২]
হাদিসটি যদিও যয়ীফ তবে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে এ ধরনের যয়ীফ হাদিস গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। উলামায়ে কেরাম এমনটিই বলে থাকেন। সুতরাং কোনো সন্তান যদি তার পিতা মাতার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকায় তাহলে সে মকবুল হজ্বের সওয়াব লাভ করবে বলে আশা করা যায়।
আল আজকার ৭-৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم