প্রশ্ন
আমার একটি মুদি দোকান রয়েছে। শবে বরাতে সাধারণত মানুষ আতশবাজি ফুটিয়ে থাকে। এ কারণে শবে বরাত উপলক্ষ্যে আতশবাজির ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। জানতে আমি কি শবে বরাত উপলক্ষ্যে আতশবাজির ব্যবসা করতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শবে বরাত একটি ফজিলতপূর্ণ রাত। আল্লাহ তাআলা শবে বরাতের রাতে সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَطْلُعُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
‘মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ [সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস: ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস: ৬২০৪]
কাজেই শবে বরাতের ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত বন্দেগী লিপ্ত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আতশবাজি ফুটানো শরিয়ত সমর্থন করে না। তাছাড়া এতে অর্থ অপচয় হয়। অর্থ অপচয় করা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। আর যে জিনিস হারাম, তার ক্রয় বিক্রয়ও হারাম। সুতরাং আপনি শবে বরাত উপলক্ষ্যে আতশবাজির ব্যবসা করতে পারবেন না।
সূরা মায়েদা, আয়াত: ২; মুসনাদে আবু দাউদ তায়ালিসি, হাদিস: ১২৩০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم