প্রশ্ন
আমি একটি কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে শিশুকে লালন-পালন করে বড় করেছি। সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে। এখন তার সাথে কি আমার পর্দা করতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হ্যাঁ, পালিত সন্তানের সাথে পর্দা করা জরুরি। সে আপন সন্তানের মতো নয়। তবে যদি দুধ পান করার বয়সে অর্থাৎ দুই বছর বয়সের মধ্যে আপনি পালিত সন্তানকে দুধ পান করিয়ে থাকেন তাহলে সে দুধসম্পর্কীয় মাহরাম হিসেবে গণ্য হবে এবং তার সাথে পর্দা রক্ষা করতে হবে না।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,
‘তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ২৩]
অন্যত্র ইরশাদ করেন,
‘তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।’ [সূরা নুর, আয়াত: ৩১]
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ
‘আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, হারাম হয়ে যায় দুধ পানের দ্বারা, যেমন হয় জন্মগত সম্পর্কের দ্বারা।’ [মুয়াত্তা মালেক, হাদিস: ১২৮২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم