প্রশ্ন
আমাদের এক প্রতিবেশীর কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ জাতের এক জোড়া দামি কুকুর আছে। সে এগুলো কিনেছিল তার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য। তার কুকুরগুলো কয়েকটা বাচ্চা দিয়েছে। আমাদের বাড়ি যেহেতু একেবারে গ্রামে আর এদিকে পাহারা দেওয়ার জন্য তেমন মানুষ পাওয়া যায় না, আবার এই কুকুরগুলোও পাহারার জন্য খুব ভালো তাই কয়েকজন প্রতিবেশী তাদের বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য কুকুরগুলো বড় হলে কিনতে চাচ্ছে। তো এখন জানার বিষয় হলো, তার জন্য কুকুরগুলো বিক্রি করা এবং তার মূল্য ভোগ করা জায়েয আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী কুকুরগুলো যেহেতু পাহারার কাজ ভালো করে আর পাহারার জন্য কুকুর রাখা এবং ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ, তাই পাহারার প্রয়োজনে কুকুরগুলো ক্রয়-বিক্রয় করা এবং মালিকের জন্য তার মূল্য ভোগ করা জায়েয হবে।
প্রকাশ থাকে যে, সখের বশবর্তী হয়ে কিংবা বিজাতীয় ফ্যাশন অবলম্বনে কুকুর রাখা বা লালন-পালন করা জায়েয নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন-
لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَصَاوِيرُ.
যে ঘরে কুকুর থাকে অথবা কোনো ধরনের (প্রাণীর) ছবি থাকে সেখানে রহমতের ফিরিশতা প্রবেশ করে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৪৯)
তাই পাহারা বা শিকারের প্রয়োজন ছাড়া কুকুর পালা যাবে না।
-কিতাবুল আছল ৫/৪১৫; আলমাবসূত, সারাখসী ১১/২৩৪; ফাতহুল কাদীর ৬/২৪৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/১৩৩; ইলাউস সুনান ১৪/৪৩১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم