প্রশ্ন
আমি একদিন জামাতে নামায পড়া অবস্থায় মসজিদের সামনের দেয়ালের দিকে অনিচ্ছায় দৃষ্টি চলে যায়। সেখানে থাকা একটি লেখাও বুঝে ফেলি। তাৎক্ষণিক দৃষ্টি ফিরিয়ে ফেলি। জানতে চাচ্ছি, আমার নামাযে কোনো ক্ষতি হয়েছিল কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নামাজ অবস্থায় এদিক সেদিক তাকানো নিষেধ। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الِالْتِفَاتِ فِي الصَّلَاةِ فَقَالَ: هُوَ اخْتِلَاسٌ، يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطَانُ مِنْ صَلَاةِ الْعَبْدِ
‘আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে নামাজে এদিক ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটা এক ধরনের ছিনতাই, যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার নামাজ হতে অংশ বিশেষ ছিনিয়ে নেয়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৫১]
নামাজে খুশুখুজু ধরে রাখার জন্য দৃষ্টি কোন দিকে নিবদ্ধ রাখবে তা নিয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ আছে। ইমাম আবু হানীফা (রা.)-এর মতে নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সেজদার স্থানে নিবদ্ধ রাখতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ مَا خَلَفَ بَصَرُهُ مَوْضِعَ سُجُودِهِ حَتَّى خَرَجَ مِنْهَا
‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাবায় প্রবেশ করতেন তখন তাঁর দৃষ্টি নামাজ হতে বের না হওয়া পর্যন্ত তার সেজদার স্থলেই রাখতেন।’ [সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ৩০১২]
কেউ ইচ্ছাকৃত নামাযে কোনো লেখার দিকে তাকালে তার কাজটি মাকরূহ হয়। তবে আপনার কাজটি অনিচ্ছায় হওয়ায় আপনার নামাযের কোনো ক্ষতি হয়নি।
উল্লেখ্য, মুসল্লীদের দৃষ্টিগোচর হয় মসজিদের এমন স্থানে কোনো কিছু লেখা বা কোনো ঝুলানো মোটেও উচিৎ নয়। কারণ এতে খুশুখুজু নষ্ট হয়।
আদ্দুররুল মুখতার ১/৬৩৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم