প্রশ্ন
আমি হারাম রিলেশনে যুক্ত ছিলাম। প্রেমিকা কর্তৃক একটি জামা গিফট পেয়েছিলাম। এখন দ্বীনের বুঝ আসায় উক্ত রিলেশন থেকে তওবা করেছি। জানতে চাচ্ছি, সেই গিফট পাওয়া জামা পরিধান করে নামায পড়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বিয়ে বহির্ভুত প্রেম হারাম ও নাজায়েয। কারণ তা অনেক হারাম কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ
‘আর সতী সাধ্বী মুসলিম নারীরাও এবং তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবের মধ্যকার সতী-সাধ্বী নারীরাও (তোমাদের জন্য হালাল), যখন তোমরা তাদেরকে তাদের বিনিময় (মোহর) প্রদান কর, এ রূপে যে, তোমরা (তাদেরকে) পত্নী রূপে গ্রহণ করে নাও, না প্রকাশ্যে ব্যভিচার কর, আর না গোপন প্রণয় কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫]
আপনি যেহেতু তওবা করেছেন তাই আপনাকে সাধুবাদ। বর্তমানে আপনার কর্তব্য হল, পূর্বোক্ত কৃতকর্মের জন্য খাঁটি মনে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা করা।
হারাম রিলেশন চলাকালে যে জামা গিফট পেয়েছিলেন তা পরিধান করে নামায পড়তে কোনো সমস্যা নেই। কারণ উক্ত জামার মালিক আপনি নিজেই। তবে তাকওয়ার দাবি হল, তা কোনো গরিব ব্যক্তিকে দান করে দেওয়া। কারণ উক্ত জামা আপনাকে পূর্বোক্ত গুনাহের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে। ফলে এতে পুনরায় গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকে যায়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم