প্রশ্ন
আমি একবার জুমআর দিন সফরে ছিলাম। পথিমধ্যে গাড়ি এক সজিদের সামনে এমন সময় যাত্রা বিরতি দেয় যখন জুমআ শেষ হবে হবে অবস্থা। আমি দেখলাম, অজু করতে গেলে জুমআ ছুটে যাবে। তাই তায়াম্মুম করেই জুমআয় শরিক। জানতে চাচ্ছি, আমার সেদিনের নামাজ কি হয়েছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে তায়াম্মুম ঐ ব্যক্তি করতে পারবে যে ব্যক্তির কাছে কোনো পানি নেই। পানির ব্যবস্থা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। অথবা পানি আছে কিন্তু সে পানি ব্যবহারে অক্ষম। অথবা পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধির আশংকা বা প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দিবে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণে তায়াম্মুম করার অনুমতি নেই। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا
‘আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
কাজেই জুমআর নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকা দেখা দিলেও পানি থাকা অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না। বরং অজু করে জুমআ পেলে জুমআ পড়বে। অন্যথায় যোহরের নামাজ আদায় করবে।
যেহেতু আপনি তায়াম্মুম করে জুমআ আদায় করেছেন, তাই সেদিন আপনার জুমআর নামাজ শুদ্ধ হয়নি। এখন আপনাকে সেদিনের জুমআর পরিবর্তে যোহরের নামাজ কাযা করে নিতে হবে।
কিতাবুল আছল ১/৯৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم