প্রশ্ন
আপনাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বন্ধকী জমি বন্ধক গ্রহীতার জন্য ভোগ করা জায়েয নেই। জানতে চাচ্ছি, এমন কোনো পদ্ধতি আছে কি, যার মাধ্যমে সেই জমি ভোগ করা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বন্ধকী জমি থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ নয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘ইবনে সিরীন (রহ.) থেকে বর্ণিত, জনৈক লোক ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ, তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১]
তবে ফুকাহায়ে কেরাম এক্ষেত্রে দুইটি পদ্ধতির কথা বলেছেন। যে দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে উক্ত জমি ঋণদাতা ভোগ করতে পারবে। পদ্ধতি দুইটি হল,
১. ঋণদাতা ঋণগ্রহীতা থেকে উক্ত জমিটি মাসিক বা বাৎসরিক হিসেবে ভাড়া নিবে। নামমাত্র ভাড়া নির্ধারণ করবে। এরপর ঋণগ্রহীতার প্রয়োজন পরিমাণ টাকা ভাড়া বাবদ অগ্রিম ঋণগ্রহীতাকে প্রদান করবে। তারপর যে কয় বছরের জন্য বন্ধক নিতে চেয়েছিল, সে কয় বছর পর জমির ভাড়া বাবদ যে টাকা আসে তা বাদ দিয়ে বাকি টাকা ঋণদাতাকে দিয়ে জমি নিয়ে যাবে।
২. ঋণদাতা উক্ত জমিটি ঋণগ্রহীতা যত টাকা ঋণ চাচ্ছে সেই পরিমাণ টাকা দিয়ে ক্রয় করবে। ক্রয় বিক্রয় শেষ হলে ঋণদাতা পুনরায় বলবে, আমি এত বছর পর এত টাকার বিনিময়ে তা তোমার কাছে বিক্রি করব যদি তুমি ক্রয় করতে চাও। তাহলে নির্ধারিত বছর শেষ হলে ঋণগ্রহীতা ঐ পরিমাণ টাকা দিয়ে সেই জমি নিয়ে নিতে পারবে।
উক্ত দুইটি পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে জমিটি ভোগ করা বৈধ হবে।
রদ্দুল মুহতার ১০/৮৩; হেদায়া ৪/৫২২; আল বাহরুর রায়েক ৬/১১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم