প্রশ্ন
হাদিসে বর্ণিত মাছনুন দোয়াগুলোর বচন বা অন্য কোনো শব্দ পরিবর্তন করে পাঠ করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলোতে অবস্থাভেদে বচন বা কোনো শব্দ পরিবর্তন করে পাঠ করা যাবে। তবে উত্তম হল, হাদিসে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে সেভাবেই সেগুলো বাকি রাখা। কোনোরূপ পরিবর্তন না করা। হাদিস শরিফে এসেছে,
حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلَاةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الْأَيْمَنِ، وَقُلِ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ، لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَى مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ قَالَ فَإِنْ مِتَّ مِتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ، وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ قَالَ الْبَرَاءُ: فَقُلْتُ: أَسْتَذْكِرُهُنَّ، فَقُلْتُ: وَبِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ، قَالَ: لَا، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
‘বারাআ ইবনে আযিব (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল (সা.) আমাকে বললেন, যখন রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিবে তখন নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে ডান কাতে শুয়ে বলবে, ‘‘হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম ও আপনার অনুগত হলাম, আমার কাজ আপনার উপর ন্যস্ত করলাম, আমার পিঠ আপনার নিকট সোর্পদ করলাম এবং আপনার সাহায্যের প্রতি আমি ভরসা করলাম আপনার প্রতি আগ্রহে ও ভয়ে। আপনি ছাড়া অন্য কোথাও মুক্তি ও নিরাপত্তার স্থান নেই। আমি আপনার সেই কিতাবে বিশ্বাস করি যা আপনি আপনার প্রেরিত নবীর উপর অবতীর্ণ করেছেন।’’ অতঃপর রাসূল (সা.) বললেন, অতঃপর (ঐ রাতে) যদি তোমার মৃত্যু হয় তাহলে তুমি ইসলামের উপরেই মারা গেলে। এটাই হবে তোমার সর্বশেষ কথা। বারাআ (রা.) বলেন, আমি বললাম, এটি আওড়াতে গিয়ে আমার মুখে ‘ওয়াবিরাসূলিকাল্লাযি আরসালতা’ এসে গেলে তিনি (সা.) বললেন, না, বরং ‘ওয়া বিনাবিয়্যিকাল্লাযি আরসালতা’।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৪৬]
উক্ত হাদিস থেকেও বুঝা যাচ্ছে, হাদিসে বর্ণিত মাছনুন দোয়াগুলো যে শব্দে বর্ণিত হয়েছে সে শব্দে ব্যবহার করাটাই উত্তম।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم