প্রশ্ন
আমি হাদিসে পড়েছি, শুক্রবার সূরা কাহফ পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। আরবী মাস হিসেবে শুক্রবার শুরু হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে। আমার প্রশ্ন হল, সূরা কাহফ কখন পাঠ করলে এই ফজিলত লাভ হবে? শুক্রবার দিনে, নাকি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পড়লেও হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শুক্রবারের যে কোনো সময়ে সূরা কাহফ পাঠ করলে হাদিসে বর্ণিত ফজিলত লাভ হবে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত হোক বা শুক্রবার দিন। এ ব্যাপারে উভয় ধরনের হাদিসই পাওয়া যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْكَهْفِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنْ النُّورِ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ الْعَتِيقِ
‘আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য তার ও বাইতুল আতিক্ব (কা’বা)-এর মধ্যবর্তী জায়গা নূরে আলোকিত হয়ে যাবে।’ [সুনানে দারেমী, হাদিস: ৩৪৫০]
অপর আরেকটি হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْكَهْفِ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّورِ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ
‘আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।’ [সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদিস: ৫৯৯৬]
উভয় হাদিসের উপর ভিত্তি করে উলামায়ে কেরামগণ বলেছেন, শুক্রবারের রাত-দিন যখনই সূরা কাহফ পাঠ করা হোক হাদিসে বর্ণিত উক্ত ফজিলত লাভ হবে।
ফয়যুল কাদীর ৬/১৯৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم