প্রশ্ন
আমি অবিবাহিত। আলহামদুলিল্লাহ, আমার হজ্বে যাওয়ার সামর্থ্য আছে। আমি যদি এখন বিয়ে করি তাহলে এ বছর আর হজ্বে যেতে পারব না। আমার প্রশ্ন হল, আমি কি আগে বিয়ে করব, নাকি হজ্বে যাব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। আপনার যৌনাকাঙ্ক্ষা যদি এত বেশি হয় যে, বিয়ে না করলে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয় তাহলে হজ্বে যাওয়ার আগে বিয়ে করে নিতে হবে। ইবনে কুদামা (রহ.) লিখেন,
وَإِنْ احْتَاجَ إلَى النِّكَاحِ , وَخَافَ عَلَى نَفْسِهِ الْعَنَتَ ( أي المشقة ) , قَدَّمَ التَّزْوِيجَ , لأَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَيْهِ , وَلا غِنَى بِهِ عَنْهُ , فَهُوَ كَنَفَقَتِهِ , وَإِنْ لَمْ يَخَفْ , قَدَّمَ الْحَجَّ ; لأَنَّ النِّكَاحَ تَطَوُّعٌ , فَلا يُقَدَّمُ عَلَى الْحَجَّ الْوَاجِبِ
‘কোনো ব্যক্তি যদি বিয়ের মুখাপেক্ষী হয় এবং গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা করে তাহলে আগে বিয়ে করবে। কেননা এই অবস্থায় তার জন্য বিয়ে করা আবশ্যক। এছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার আর কোনো রাস্তা নেই। ফলে এই বিষয়টি ব্যক্তিগত খরচাপাতির মত হয়ে গেল। আর যদি গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা না থাকে তাহলে আগে হজ্ব করবে। কেননা সেই অবস্থায় বিয়ে করা তার জন্য নফল। কাজেই তাকে ফরজ হজ্বের উপর প্রাধান্য দেওয়া যাবে না।’ [আল মুগনী ৫/১২]
আর যদি গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা না থাকে তাহলে আপনার জন্য আগে হজ্ব করা আবশ্যক।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم