প্রশ্ন
আমি শুনেছি, রাসূল (সা.) নিজের জন্মদিনে রোজা রেখেছেন। তাহলে আপনারা জন্মদিনে রোজা রাখা বিদআত বলছেন কেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.)-কে সোমবার রোজা রাখা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন: ‘এটি এমন দিন যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং যেদিন আমার উপর ওহী নাজিল হয়।’ [সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ২৭৭৭]
আরেক হাদিসে রয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন: ‘প্রতি সোমবার ও বৃহ:বার আমলনামা পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, আমার আমলনামা রোজা রাখা অবস্থায় উপস্থাপন করা হয়।’ [সুনানে তিরিমিযি, হাদিস: ৭৪৪]
উভয় হাদিস থেকেই বুঝা যায়, রাসূল (সা.) সোমবার রোজা রাখার অনেকগুলো কারণের একটি হল ঐদিনে জন্মগ্রহণ করা। শুধু জন্মদিন হওয়ার কারণেই সেদিন রোজা রাখেননি।
তাছাড়া সাধারণত আমাদের মাঝে যেভাবে বছরে একদিন জন্মদিন পালন করার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে এটি সেরকম কিছুও নয়।
এ ছাড়াও রাসূল (সা.) এর আগমন ছিল বিশ্ববাসীর জন্য আনন্দের সংবাদ। অন্য কারও আগমন তেমন নয়। এ জন্যও নিজের জন্মদিন পালনের জন্য রোজা রাখা বৈধ হবে না।
সাথে সাথে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, সাহাবা, তাবেয়িন কেউ নিজের জন্মদিনে অন্যান্য কার্যকলাপের মত রোজাও রাখেননি। যদি তা নেক কাজ হত তাহলে তারাও এই কাজ করতেন।
যেহেতু তাদের কেউই এটা করেনি তাই বুঝা যায় এটি নতুন আবিষ্কৃত তথা বিদআত। তাই জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যেও রোজা রাখা বৈধ হবে না।
অবশ্য কেউ যদি রাসূল (সা.)-এর অনুসরণের জন্য সোমবার রোজা রাখে তাহলে সেটি ভিন্ন কথা। এবং তার জন্য সে সওয়াবও লাভ করবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم