প্রশ্ন
এক ব্যক্তির সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে সে বলে, মরণের পরে যা হওয়ার হবে। প্রশ্ন হলো, এমন কথা বলার দ্বারা তার ঈমান কি থাকবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যেহেতু এ জাতীয় কথার মাঝে আখেরাতের প্রতি অবিশ্বাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাই তার ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা আছে। তাই তার জন্য পুনরায় ঈমান নবায়ন করে নেওয়া উচিৎ।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِلْمُكَذِّبِينَ * الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ * وَمَا يُكَذِّبُ بِهِ إِلَّا كُلُّ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ * إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ * كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ * كَلَّا إِنَّهُمْ عَنْ رَبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَمَحْجُوبُونَ * ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُوا الْجَحِيمِ * ثُمَّ يُقَالُ هَذَا الَّذِي كُنتُمْ بِهِ تُكَذِّبُونَ
‘সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের, যারা প্রতিফল দিবসকে মিথ্যারোপ করে। প্রত্যেক সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠই কেবল একে মিথ্যারোপ করে। তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরান কালের উপকথা। কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে। কখনও না, তারা সেদিন তাদের পালনকর্তার থেকে পর্দার অন্তরালে থাকবে। অতঃপর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে।’ [সূরা মুতাফফিফীন, আয়াত: ১০-১৭]
পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে হবে যেন এ জাতীয় কথা মুখ দিয়ে বের না হয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم