প্রশ্ন
আমি নিয়মিত ফজরের পর ঘুমিয়ে থাকি। একজন বললেন ফজরের পর ঘুমানো ঠিক নয়। প্রশ্ন হলো, এ ব্যাপারে ইসলামি শরিয়ত কী বলে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) ভোরবেলার সময়কে বরকতময় বলেছেন। সে হিসেবে কেউ যদি ফজরের পর ঘুমায় তাহলে সে ঐ বরকত থেকে বঞ্চিত হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا، وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ
‘সাখর আলগামিদী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল(সা.) বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন। তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রা.) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬০৬]
এ কারণেই কতক উলামায়ে কেরামগণ বলেছেন, ফজরের পর ঘুমানো মাকরূহ। তাই ফজরের পর না ঘুমানোটাই উত্তম হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم