প্রশ্ন
কেউ পড়ালেখায় ভালো করলে মাঝে মাঝে হিংসা চলে আসে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হিংসা দুই ধরনের। এক ধরনের হিংসা হলো, যাতে আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে যে নেয়ামত দিয়েছেন তার অপসারণ কামনা করা। আর আরেক ধরনের হিংসা হলো, নেয়ামতের অপসারণ কামনা না করে নিজের জন্য সেই নিয়ামত কামনা করা। এটিকে ঈর্ষা বলা হয়। হিংসা উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। কিন্তু ঈর্ষা বৈধ।
হাদিস শরিফে এসেছে,
لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فَهُوَ يَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً فَهُوَ يُنْفِقُهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ
‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, দু’টি ব্যাপার ছাড়া হিংসা পোষণ করা যায় না। একটি হল, এমন ব্যক্তি যাকে মহান আল্লাহ কুরআনের ইলম দান করেছেন। সে তদনুযায়ী রাত-দিন আমল করে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা অর্থ-সম্পদ দান করেছেন। সে রাত-দিন তা (আল্লাহর পথে) খরচ করে (এ দু’ ব্যক্তির সাথে হিংসা পোষণ করা যায়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭৩৭]
সুতরাং আপনার সেই হিংসা যদি ঈর্ষার পর্যায়ে হয়ে থাকে তাহলে তা দোষণীয় নয়। আর যদি আসলেই হিংসা হয়ে থাকে তাহলে তা হারাম। তা থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم