প্রশ্ন
ছোটকালে শুনেছিলাম শুকরের নাম মুখে উচ্চারণ করলে ৪০ দিন পর্যন্ত মুখ নাপাক থাকে। বরং শুকরের বদলে খিনজির বলতে হবে। আসলে কি তাই? সঠিক বিষয়টি জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শুকর একটি নাপাক ও নিকৃষ্ট প্রাণী। একারণেই আল্লাহ তাআলা শুকর খাওয়াকে হারাম করে দিয়েছেন।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
‘নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শুকরের গোশত এবং যা গায়রুল্লাহর নামে জবাই করা হয়েছে।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৭৩]
আরেক আয়াতে এসেছে,
قُلْ لَا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنْزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ
‘বলুন, আমার প্রতি যে ওহী হয়েছে তাতে লোকে যা খায় তার মধ্যে আমি কিছুই হারাম পাই না; মৃত প্রাণী, প্রবাহিত রক্ত ও শুকরের গোশত ছাড়া। কেননা এগুলো অবশ্যই অপবিত্র।’ [সূরা আনআম, আয়াত: ১৪৫]
আল্লাহ তাআলা যা হারাম করেছেন তার প্রতি মানুষের ঘৃণা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শুকরের নাম উচ্চারণ করলে মুখ ৪০ দিন পর্যন্ত নাপাক থাকবে এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। তাছাড়া শুকরের আরবী প্রতিশব্দ হলো খিনজির। একই প্রাণীর নাম বাংলায় উচ্চারণ করলে মুখ নাপাক হবে আর আরবীতে উচ্চারণ করলে মুখ নাপাক হবে না- এটি কেমন কথা? তাই এ জাতীয় অমূলক কথা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিৎ।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم