প্রশ্ন
বর্তমানে দেখা যায়, অনেক ব্যক্তি হিজামা করে। তারা বলে থাকে, এটি হলো নববী চিকিৎসা। আমি জানতে চাই, হিজামা করা বা শিঙ্গা লাগানো কি বৈধ? এ ব্যাপারে ইসলাম কী বলে? দলিলসহ জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামের দৃষ্টিতে শিঙ্গা লাগানোর অনুমোদন রয়েছে। শুধু অনুমোদনই নয় বরং এব্যাপারে উদ্বুদ্ধও করা হয়েছে। রাসূল (সা.) নিজেও শিঙ্গা লাগাতেন এবং অন্যদেরকেও উৎসাহ দিতেন। বিভিন্ন হাদিস থেকে এ বিষয়টি জানা যায়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
قَالَ إِنَّ أَمْثَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ وَالْقُسْطُ الْبَحْرِيُّ
‘রাসূল(সা.) বলেন: তোমরা যে সব জিনিস দিয়ে চিকিৎসা কর, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল শিঙ্গা লাগানো এবং সামুদ্রিক চন্দন কাঠ।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৯৬]
অন্য হাদিসে এসেছে,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي بِمَلإٍ إِلاَّ قَالُوا يَا مُحَمَّدُ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ
‘রাসূল (সা.) বলেন, আমি মেরাজের রাত্রে ফেরেশতাদের যে দলেরই নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছি সকলেই বলেছেন, হেমুহাম্মাদ! আপনি আপনার উম্মতকে শিঙ্গা লাগানোর হুকুম করুন।’[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪৭৯]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘হযরত আবু কাবশা আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) নিজের মাথায় এবং উভয় কাঁধের মাঝখানে শিঙ্গা লাগাতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি এসব (স্থান থেকে) দূষিত রক্ত বের করে দেয়, তার জন্য অন্য কিছু দ্বারা কোনো রোগের চিকিৎসা না করলেও কোনো ক্ষতি হবে না।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫৯]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم