প্রশ্ন
রোগীর সেবাকারীর ফজিলত সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মানুষ রোগাক্রান্ত হলে সাধারণত ভেঙ্গে পড়ে। পেরেশান হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় কেউ যদি তার পাশে গিয়ে তাকে সান্ত্বনার বাণী শোনায়, তার খোঁজ খবর নেয়, তার সেবা-যত্ন করে তাহলে সে দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়, সে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করে। এ কারণেই ইসলাম রোগীর সেবাকে মানুষের অন্যতম হকরূপে নির্ধারণ করে দিয়েছে। যারা রোগীর সেবা করবে তাদের অনেক ফজিলতের কথা রাসূল (সা.) বলে গিয়েছেন।
হাদিসে কুদসিতে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا ابْنَ آدَمَ مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدْنِي . قَالَ يَا رَبِّ كَيْفَ أَعُودُكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ . قَالَ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِي فُلاَنًا مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَنِي عِنْدَهُ
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিনে বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম; কিন্তু তুমি আমার খোঁজ-খবর রাখনি। সে বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি কী করে তোমার খোঁজ-খবর করব, অথচ তুমি সারা জাহানের প্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল, আর তুমি তার সেবা করনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি তার সেবা-শুশ্রুষা করলে তার কাছেই আমাকে পেতে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৩২২]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগীকে সেবা করতে যায়, আকাশ থেকে একজন আহ্বানকারী তাকে লক্ষ্য করে বলেন, তুমি মুবারক হও এবং মুবারক হোক তোমার এই পদচারণা। তুমি জান্নাতে নিজ আবাস তৈরি করে নিলে।’[সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৪৪৩]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.)ইরশাদ করেছেন, যে লোক ভালো করে অজু করে এবং একমাত্র সাওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, তাকে দোজখ থেকে ষাট বছরের রাস্তার সমপরিমাণ দূরে রাখা হবে।’[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩০৯৭]
এছাড়াও আরও বেশ কিছু হাদিসে রোগীদের সেবা করার ফজিলতের কথা বলা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم