প্রশ্ন
আমি একজন কবিরাজ। আমার কাছে অনেক মানুষ জ্বিনের রুগী নিয়ে আসে। আমি কুরআনের আয়াত এবং কিছু বিশেষ দোয়া দিয়ে তাদেরকে ঝাড়ফুঁক করে থাকি। আমার জন্য কি এ কাজটি করা বৈধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআনের আয়াত দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা বৈধ। আর বিশেষ দোয়াগুলোর যদি অর্থ সুস্পষ্ট হয় এবং যদি তাতে কোনো শিরকি বা ঈমানবিধ্বংসী কথাবার্তা না থাকে তাহলে তা দিয়েও জ্বিনের চিকিৎসা করা যাবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) একদিন আসমা বিনতে উমাইস (রা.)-কে বললেন, (আসমা রাসূল (সা.) চাচাতো ভাই ও প্রসিদ্ধ সাহাবী জাফর তাইয়ার (রা.)-এর সহধর্মিণী) আমার ভ্রাতুষ্পুত্রদের কী হলো, তারা সকলে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তারা কি অভাবে রয়েছে? আসমা বললেন, না, তবে তাদের প্রতি বদ নযর বেশি লাগে; আমরা কি এর জন্য ঝাড়ফুঁক করব? রাসূল (সা.) বললেন, কী পড়ে তোমরা বদ নযরের জন্য ঝাড়ফুঁক কর- তা আমাকে শোনাও। তখন আসমা (রা.) তা পড়ে শোনালেন। তখন রাসূল (সা.) বললেন, অসুবিধা নেই এ দিয়ে ঝাড়ফুঁক কর।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৪৫৭৩]
আরেক হাদিসে এসেছে,
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ؟ فَقَالَ: اعْرِضُوا عَلَيَّ رُقَاكُمْ لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ تَكُنْ شِرْكًا
‘আওফ ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী যুগে ঝাড়ফুঁক করতাম। অতঃপর আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেন: তোমাদের ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থাগুলো আমার সামনে পেশ করো; যেসব ঝাড়ফুঁক শিরকের পর্যায়ে পড়ে না, তাতে কোনো দোষ নেই।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৮৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم