প্রশ্ন
জাদু করা কি বৈধ? এ ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জাদু করা হারাম ও মারাত্মক পর্যায়ের কবিরা গুনাহ। যারা যাদু করে কুরআনে তাদেরকে নিন্দা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাদিসেও নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
‘আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরি করেনি; বরং শয়তানরা কুফরি করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরি করো না। এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোনো ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা অবশ্যই জানত যে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করবে, আখিরাতে তার কোনো অংশ থাকবে না। আর তা নিশ্চিতরূপে কতই-না মন্দ, যার বিনিময়ে তারা নিজদেরকে বিক্রয় করেছে। যদি তারা জানত।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১০২]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত,রাসূল (সা.) বলেন: তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু হতে বেঁচে থাক। সাহাবাগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলি কি? তিনি উত্তরে বলেন: (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) যাদু করা (৩) হক পন্থা ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতীমের মাল খাওয়া, (৬) যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করা ও (৭) স্বতী-স্বাধ্বী, সরলা মুমিন নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া।’[সহিহ মুসলিম, হাদিস ২/৮৩]
অন্য হাদিসে এসেছে,
‘ইবনে আব্বাস (রা.) তার বর্ণনায় বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন: যে জ্যোতিষী বিদ্যা শিক্ষা করল সে যাদু বিদ্যার একটি অংশ শিক্ষা গ্রহণ করল, যে যত বেশি জ্যোতিষী বিদ্যায় অগ্রসর হলো সে যাদু বিদ্যায় যেন ততই অগ্রসর হলো।’[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৯০৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৭২৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم